১ সেপ, ২০১১

শহীদ মিনারে হবে ঈদ, আবুল তুমি গাও গীত-১

মেলাদিন কিছু লেখি না...তাই হাত গরম পোষ্ট । ঢাকাইয়া বুদ্ধিজীবি সমাজের একটা বড় সমস্যা, এরা ঢাকার বাইরে ভাবতে চায় না। যেমন ঢাকায় ১০ ঘন্টা কারেন্ট না থাকলে তাদের কলমে বজ্র ঝরে...কিন্তু গ্রামে যখন দিনে ১০ঘন্টা কারেন্ট থাকে তখন তারা নিরব থাকেন। তারা উন্নত জীব, কারন তারা পত্রিকায় লেখেন--গ্রামের লোকে তাদের জন্য ফসল ফলাবে ক্ষেতে খালায়, গরমে ঘামাচি ফুটাবে...সেইটাই তাদের নিয়তি। এইবার ঈদে আন্দোলন করতে চান তারা।সুন্দর পরিকল্পনা। শহীদ মিনারে যারা যাবেন (যদি মন্ত্রীসাব আজকে চান রাইতে পদত্যাগ না কৈরা ফেলেন), তাদেরকে ঈদ মুবারক। তবে উনাদের এই অভিনব আন্দোলনের দাবিগুলাতে আমার কিছু গ্যাটিস চিন্তা সাপ্লাই দেয়ার ইচ্ছা আছে।
আসল আবুল দূরে বৈসা মজাক দেখতেছে

উনাদের দাবিসমূহ:

এক. আমাদের প্রধান দাবি ৩১ আগস্টের মধ্যে যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে পদচ্যুত করতে হবে।
দুই. অবৈধ লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে।
তিন. সড়ক ও পরিবহন সেক্টরের দুর্নীতি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
চার. গণপরিবহন ব্যবস্থায় দ্রুত শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে হবে।
পাঁচ. সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বিদ্যমান আইনটি কঠোর করতে হবে।
ছয়. চালকদের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
সাত. সড়ক ও পরিবহনসহ প্রশাসনের সবস্তরে কার্যকর জবাবদিহিতার কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে হবে। (লিঙ্ক )


মূলদাবি যোগাযোগমন্ত্রীর পদত্যাগকে আমার কাছে অগুরুত্বপূর্ন মনে হয়, যদিও উনার পদে থাকার কোন যোগ্যতা নাই। তবে দেশের ঢাকাইয়া বুদ্ধিজীবি সমাজ জেমতে তারে চাইপ্পা ধর্তে চাইতেছে তাগো কলামে, চোপাতে...আমার কাছে সেইটা আজাইরা মনে হয়। এই মন্ত্রী গেলেও রাস্তাঘাটের তেমন কোন উন্নতি হবে না...যোগাযোগ ব্যবস্থার কিছুই পরিবর্তন হবে না। তাই মন্ত্রীর গদি ধৈরা টান দেয়ার চেয়ে পুরা যোগাযোগ ব্যবস্থার (সড়ক-রেল-নৌপথ) সমস্যা নিয়া ভাবা উচিত...এবং আরো গুরুত্বপূর্ন সাজেশন সরকারকে দেয়া উচিত। কিন্তু আফসোসের বিষয়, শুধুমাত্র আবুল সাহেবের নিকুচি কইরাই বুদ্ধিজীবি ও সোশাল সুশীল সমাজ (ফেইসবুক ঘরনা) তাদের সমস্ত গলার রগ ফুলায়া ফেলতেছেন। বুদ্ধিজীবিদের কলামে তারেক মাসুদ ও আশফাক মুনীরকে (আল্লাহ তাদের আত্মার শান্তি দিন) হারাবার বেদনাই প্রকট...বুদ্ধির চর্চা নাই। সড়ক নিরাপত্তা দিয়া যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তন হয় না। আমার মনে হয় ৩টা গুরুত্বপূর্ন ইস্যুকে আরো শক্তভাবে এড্রেস করা উচিতঃ

১। রেল ও নৌপথে যাতায়াত ব্যবস্থায় সরকারী ইনভেস্টমেন্ট ও তার ব্যবহার ২। সড়ক রক্ষনাবেক্ষন বাজেট ঘাটতি পূরনে পরিপূরক ব্যবস্থা ৩। ট্রানজিটে ভারতের কাছে প্রতিটি রুটের জন্য পর্যাপ্ত টোল আদায় করা যা "রোড ফান্ডে" ব্যবহার করা যাবে

উনাদের দাবিগুলা শুধু মন্ত্রীর বিরুদ্ধে, কিছু চালকের বিরুদ্ধে। আর ট্রানজিট উনাদের কাছে একটা এলিয়েন ইস্যু। কিন্তু উপরের তিনটিই সড়কের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত বিষয়---যার উপরে নির্ভর করতেছে আগামী ১০ বছরে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার কোন পরিবর্তন হবে, নাকি শুধু মন্ত্রীর পরিবর্তন হবে।


ঈদ মুবারক। (চলছে চলুক)

কোন মন্তব্য নেই: