৮ সেপ, ২০১০

সেক্যুলার বিপ্লবে বাংলাদেশ ও ধার্মিক হাতির পিঠে মাতাল আমেরিকা

শিরোনামটা বেশি ভারী হৈয়া গেল। কিন্তু দ্যাশে ও দুইন্নাতে আসলেই শক্ত পরিবর্তন হৈতেছে। হৈতেই হৈব, কারন আমেরিকা থিকা বাংলাদেশ, সবখানেই পরিবর্তনের/চেঞ্জের/দিন বদলের সরকার।

The Wall Street Journal এ একটা আর্টিকেল ছাপছে আগস্টের ৩০ তারিখে  "Bangladesh's Secular Revolution"হেডিঙ্গের নিচে ছুট্ট কৈরা লেখা Women are powering the country's rejection of radical Islam, but more must be done. বুঝা যায়, লেখক বিশেষ কামেল লোক। আমাদের কি করা উচিত আর কি করা উচিত না তা তিনি বৈলা দিছেন "more must be done" হুহু।লেখক আনিস আহমেদ University of Liberal Arts Bangladesh Foundation এর ভাইস প্রসিডেন্ট।
যেকোন বাংলাদেশি পাঠক পয়লা প্যারাগ্রাফেই হেচকি খাইবো।
"... Bangladesh seems an unlikely place for a secular revolution. It is a dry country with no bars, casinos or horse races. ...And secular principles are far from being consistently upheld: Madrassas receive state funding, while citizens are often hounded for perceived slights to Islam"
  এর মানে দাড়াইল "সেক্যুলার রাষ্ট্র" হৈতে গেলে আমাদের "ড্রাই" কান্ট্রিটারে ভিজাইতে হবে...বার, ক্যাসিনোতে নাচাপিচা করতে হবে আর ঘোড়া দাবড়াইতে হবে... জুয়া খেলতে হবে। আর মাদ্রাসার মত ফালতু জাগায় টাকা পৈসা না দিয়া মদ- জুয়াতে ইনভেস্ট করা লাগপে। লেখকের সেক্যুলার রাষ্ট্রের নব্য মডেল্টার দিকে আমি তাকায়া থাকি...অনেকক্ষন।

ব্যান  
লেখক আরো বলছে, আমাদের সেক্যুলার সরকার ক্ষমতাগ্রহনের পরেই হাওয়া পাল্টায়া দিয়া এই সেক্যুলার বিল্পব শুরু করছে। এবং এই শুরুটা হোইছে, হাইকোর্টের মওদুদী বই ব্যান করার মাধ্যমে। একটা ধর্মীয় বই ব্যান কোইরা আমরা ক্যাম্নে ধর্ম নিরপেক্ষ হৈলাম, তা আমার মাথায় আসে না। হুমায়ন আজাদ স্যারের বই হোক বা মওদুদী বই হোক...আমি ব্যানের বিপক্ষে। এই ব্যান করার কালচারটা বাড়তেই আছে। আমাদের নব্য সেক্যুলার সরকার এরি মইদ্দে ফেইসবুক, ইউটিউব, ইস্পিন, আর কয়েক হালি টিভি চ্যানেল, পত্রিকা ব্যান কর্ছে। এমনকি অনলাইনে লেখালেখির প্লাটফরমগুলাও তাগো পছন্দ না। মঙ্গলধ্বনি নামের একটি অনলাইন মিডিয়া যেখানে প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশের পক্ষে লেখালেখি থাক্তো,সেইটাও ব্যান খাইছে সম্প্রতি। কারন ফুলবাড়ি কয়লাখনি নিয়ে লেখা তারা বরদাস্ত করে না, সিরাজ সিকদারের রক্তের দাগের সাথে সাথে তারে নিয়া লেখালেখিও তারা মুইছা দিতে চায়। আর ২৫মার্চ শেখ মুজিবের ভুমিকা নিয়া কোন আলোচনা (যেখানে তারে পর্যাপ্ত তেল দেয়া হয় না)তারা টলারেইট করে না। আমি যা শুনতে চাই, তুমি তা বলো নাই, তাই তুমারে আমার ভালো লাগে না...ব্যান খাও! 

পরের অংশে লেখক আনিস খান বাংলাদেশের এই "সেক্যুলার বিপ্লবের" মূল কারন অনুসন্ধান করছেন। উনার মতে নারী ক্ষমতায়নই মূল কারন।আর যুদ্ধাপরাধী থুক্কু মানবতাবিরোধীদের বিচারের মাধ্যমেও নাকি সেক্যুলারিস্ট বাংলা সমাজের গোড়া পোক্ত হৈতে যাইতেছে। পাঠকের উপ্রেই লেখকের দাবির সত্যতা খুজার ভার দিলাম।


সবচেয়ে বিরক্তিকর হৈল, ফরেন কমুনিটির আশির্বাদ কামনায় লেখকের উদাত্ত আহবান ।
The foreign community could reinforce these positive trends by supporting the war crimes tribunal. Important in its own right, the success of the trials is crucial to the secularization process as well. Trade and development partners also need to review their economic policies. The United States, for example, could reduce its punitive tariffs on Bangladeshi garments, providing an immediate boost to the economy.
যুদ্ধাপরাধী বিচার আর শুল্কমুক্ত সুবিধার সাথে সেক্যুলারিজমের কি কি যোগসূত্র আছে তা এই নাদানের মাথায় আসে না।
এই ধরনের লেখাকে হঠাত কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ভাবা ঠিক হবে না। ইলেকশনের ঠিক আগে আমাদের সজীব ওয়াজেদ জয় লিখছিলেন Stemming the Rise of Islamic Extremism in Bangladesh
Harvard International Review তে।প্রকাশিতঃ , ১৯ নভেম্বর ২০০৮।ইলেকশনের আগেই তিনি কিছু দিক নির্দেশনা দিছিলেন ক্যাম্নে সেক্যুলার বাংলাদেশ গড়া যায়। সঙ্গে ছিলেন আমেরিকান কোঅথার Carl Ciovacco।তারা লেখছেন-

“Can the Awami League stop the growing tide of Islamism in a country that has seen the sale of burkas rise nearly 500 percent in the last five years?"
৫০০% এর হিসাবটা জানা যায় নাই...এই সার্ভেটা কে করলো তাও জানা যায় নাই।তবে বোরখার দিয়া যে জঙ্গিবাদের চর্চা হয় সেইরম একটা ধারনা এখন সারা দুইন্নাতে এখন পোক্ত হইছে । ফ্রান্সে বোরখা নিষিদ্ধ হোইছে। ফরাসী আইনমন্ত্রী মিশেল মাখি এরপরে বলছেন , "গণতন্ত্র ও ফরাসি মূল্যবোধের জয় হয়েছে। বোরকা নারীর বিচ্ছিন্নতার চিহ্ন অতএব তাদের মুক্ত করতে হবে"। বাহ। সামান্য  একটা পোষাক নিষিদ্ধের মাধ্যমে বিখ্যাত ফরাসী জাতির গনতন্ত্রের ভিত মজবুত হৈল। সাধু সাধু। বাংলাদেশেও এই কিসিমের একটা হাইকোর্ট আদেশ দেখলাম। তবে এখনও সেইটা স্কুল-কলেজের উপ্রে আছে, কুন্দিন এই সেক্যুলার বিপ্লবের সামিয়ানা স্কুল-কলেজ ছাড়ায়া সারাদেশ ঢাইকা দিয়া আমাদের নড়বড়ে গনতন্ত্রের ভীত শক্ত কোইরা দেয়- সেই অপেক্ষায় আছি।

পাঠক খেয়াল কৈরা থাকবে, হার্ভাড ইন্টারন্যাশ্নাল রিভিউ আর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, দুইটাই আমেরিকার মেইনস্ট্রিম পাব্লিশার। টোটকা ফোটকা না। লেখকদের প্রফাইলো যথেষ্ট ভারি। তাদের লেখাগুলা গুরুত্বের দাবিদার । তবে সেক্যুলার রাষ্ট্রের স্বপ্নে বিভোর লেখকরা যাদের সাহায্যপুষ্ট, তাদের দিকে নজর দেই। তারা কেমন সেক্যুলার, সেইটা দেখি।

১। গ্রাউন্ড জিরো মসজিদ: আমি এইটারে আমেরিকার বাবরি মসজিদ বলি। একটা মুস্লিম কমিনিটি সেন্টার নির্মানের কাহিনি নিয়া সারা আমেরিকায় হাউকাউ। বুঝতে হবে খুবি সেক্যুলার দেশ। নাম শুইনা মনে হইতে পারে এই মসজিদটা নাইন ইলিভেনের টুইন টাওয়ার হামলার পড়ে টাওয়ার দুইটার পাদদেশে বানানো একটা মসজিদ। কিন্তু না ...এইটা মোটেও গ্র্যান্ড জিরোতে না , আসে পাশেও না, ঝারা ২ ব্লক দুরে যেখান থেকে গ্রাউন্ড জিরো দেখাও যায় না ....তার চেয়েও বড় কথা এইটা কোনো মসজিদ না ...এইটা একটা ইসলামিক কমিউনিটি সেন্টার যেখানে ফুড কোর্ট, বাস্কেটবল কোর্ট থাকবে। সাথে নামাজের জন্য ২টা ফ্লোর।প্রতিবাদী আমেরিকার মূল কথা- ইসলাম একটি ঘৃণিত ধর্ম। ক্রিশ্চিয়ানিটি নিশ্চিহ্ন করতে মুসলমানরা উঠে পড়ে লেগেছে। আমেরিকার গ্রামাঞ্চলে ২০ টি গোপন জিহাদি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প রয়েছে। ভবিষ্যতে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর জন্য সেগুলো এখনো সন্ত্রাসী তৈরি করছে। মুসলমানরা তাদের সন্তানদের হত্যা করছে।পাঠককে নিচের ভিডিওটা দেখার অনুরোধ রাখতেছি।

২। বার্ন কোরআনঃ "We believe that Islam is of the devil, that it's causing billions of people to go to hell, it is a deceptive religion, it is a violent religion and that is proven many, many times," Pastor Terry Jones, CNN. আমেরিকান এই ভদ্রলোক "Islam is of the Devil" নামের একটা জ্ঞানগর্ভ পুস্তকও লিখেছেন।
৩। বারাক ওবামাঃ এইলোক্টা হৈল আরেক ধর্মনিরপেক্ষতার পরাকাষ্ঠা। কাজে কর্মে আগেরটার (বুশ) মতই কিন্তু তিনি আবার হাদিস-কুরআন কিছু মুখস্ত করসেন ।এই হোইছে প্রব্লেম। এখন সেক্যুলার আমেরিকারে ঠান্ডা করতে হোয়াইট হাউস থিকা বিবৃতি দিতে হয় "আমাদের প্রেসিডেন্ট নিয়মিত চার্চে যান, তিনি নামাজ পড়েন না। আতংকিত হবার কিছুই নাই"।
আমাদের দেশের মন্ত্রিসভায় এত গুলান হিন্দুমন্ত্রি...আমাগোতো এত পেরেশানি লাগে না। হিন্দু এম্পিরে ভোট দিতেও আমাগো হাত পা এতো কাপে না। এরপরেও শুনতে হৈব, "আমাদের আরো সেক্যুলার হোইতে হৈব"।কি আজিব!

এদিকে আমাদের জাগ্রত বিবেক প্রথম আলোও ফিল্ডে নামছে...৫ সেপ্টম্বরের খবর
আদমশুমারির তথ্য মতে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা কমেছে প্রায় ২৪ শতাংশ
লেখাটায় নানা দিকে ধানাই পানাই কৈরা...বার বার বলা হোইছে সামাজিক বৈষম্য, নির্যাতন, চাঁদাবাজি, লুটপাট, সম্পদ ধ্বংস, দৈহিক নির্যাতন,ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে বাধা, ধর্ষণ ও পরিবারের সদস্যদের প্রাণহানি, ভূমি গ্রাস এবং ২০০১ সালে নির্বাচনের পরে সংখ্যালঘুদের উপ্রে নির্যাতন---এই হ্রাসের কারন।

প্রতি ইলেকশনের পরেই মাইরপিট হয়...এইটা দাড়ায়া গেছে বাংলাদেশের কালচার (দূঃক্ষজনক হৈলেও এইটাই সত্য)। এখন বিএনপি- আওয়ামী লীগ মাইরপিটে যদি আওয়ামীলীগের মোট ১০০জন হতাহত হয় ...তার মদ্দে যদি ২০জন হিন্দু-আওয়ামী সাপোর্টার হয়...সেইটারে কি সংখ্যালঘুদের উপ্রে নির্যাতন নাকি রাজনৈতিক বিরোধ বলবো? কিন্তু যেই ৮০ জন মুস্লমান হিট খাইলো...তাদের জন্য এইটারে "সংখ্যাগুরুদের উপ্রে নির্যাতন" বলা যাবে না। কারন তাইলেতো আমাদের সেক্যুলার হওনের বিল্পব মাঠে মারা যাইব। 

ধর্মীয় ব্যখ্যা শুধরাইতে চাইয়া মামলা-মোকদ্দমাও হইতেছে বাংলাদেশের ...যে মামলা করসে তার মতলব কি সুষ্ঠু ব্যাখ্যা খোজা ছিল নাকি একটা ধর্র্মীয় দাঙ্গা-ফ্যাসাদ লাগানো ছিল? দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের মত কুরবানির ইতিহাসও মনে হয় চেঞ্জ করতেই হইব! কিন্তু কেউ কোনো পাল্টা আঘাত করে নাই ...কারণ আমরা সেক্যুলার না. 

সবাইকে সেক্যুলার বিপ্লবের লাল সালাম।


লিঙ্কসঃ আমেরিকায় ইসলামঃ টাইম ম্যাগাজিন
পোষাক ও পর্দা: ধর্মনিরপেক্ষতা এবং রাষ্ট্র: চিন্তা 
Chronology of a Bizarre Controversy: Hurt Feelings and the Ground Zero Mosque: CounterPunch

নিরঙ্কুশ রাষ্ট্র আর বন্ধ মঙ্গলধ্বনি :বাধন অধিকারী

৩৩টি মন্তব্য:

নামহীন বলেছেন...

পাঠকগণ, অবশ্যই ভিডিও টা দেখবেন।

বাঙ্গাল, ভালো লিখস! অনেকগুলান লেখার চেও ভালো হইসে এইটা।

আনিস সাহেবের সাথে বইসা মদ খাইতে ইচ্ছা করতাসে, খাইতে খাইতে তারে জিগামু, প্রতিক্রিয়াশীলতা সম্বন্ধে!

বাঙ্গাল বলেছেন...

রাষ্ট্রীয় সুযোগ- সুবিধা (শিক্ষা, সরকারী চাকরি) কি আমাদের দেশে হিন্দু-মুসলমানে প্রভেদ আছে? ধর্মীয় অনুষ্ঠানের দিনে ছুটিও মাশাল্লাহ কোনো কমতি নাই ...অন্তত এই একটা দিকে আমরা আগায়া আছি ..ঈদ -পূজা সব খানেই আমাদের আনন্দের কমতি নাই ...কারণ এইটাই বাংলাদেশ ..এইটাই আমাদের সংস্কৃতি. কে মুসলমানের পোলা, আর কে হিন্দুর পোলা সেইটা আমরা গুনি না ...এরপরেও যদি আমরা ধর্ম নিরপেক্ষ না হইতে পারি...তাইলে সেইটা হওনের দর্রকার দেখি না

নির্ঝর বলেছেন...

কার্ল মার্ক্স লিখেছিলেন "ইউরোপ ভূত দেখছে, কমিউনিজমের ভূত"। আর এখন পাশ্চাত্য কমিউনিজমের পর যা দেখছে তা হচ্ছে ইসলামের ভূত। বার্ন কুরআন, গ্রাউন্ড জিরো মসজিদ,ওবামা এসবেরই প্রতিফলন।

লেখকের কথা আর নতুন করেকি বলব।ইনি আমার সবচাইতে প্রিয় ব্লগার। যেকোন বিষয়কে এতো সাবলীল রসোত্তীর্ণ ভাবে লেখার মত ব্লগার আমি আমার ক্ষুদ্র ব্লগার লাইফে দেখিনাই ( এই অধমের ব্যার্থতাও হতে পারে)। যাই হোক এই ব্লগটাও ব্লগারের অন্য অনেক ব্লগের মধ্যে ক্লাসিক হিসেবে থাকবে।

muhammad islam বলেছেন...

Bro, This one is superb.... thank your for arguing on basis of logic and fact....

ঈদ -পূজা সব খানেই আমাদের আনন্দের কমতি নাই ...কারণ এইটাই বাংলাদেশ ..এইটাই আমাদের সংস্কৃতি. কে মুসলমানের পোলা, আর কে হিন্দুর পোলা সেইটা আমরা গুনি না ...এরপরেও যদি আমরা ধর্ম নিরপেক্ষ না হইতে পারি...তাইলে সেইটা হওনের দর্রকার দেখি না :DDDD

Tarek's Blog বলেছেন...

it was a nice writeup full of logic and reasoning. liked the following especially:
..অন্তত এই একটা দিকে আমরা আগায়া আছি ..ঈদ -পূজা সব খানেই আমাদের আনন্দের কমতি নাই ...কারণ এইটাই বাংলাদেশ ..এইটাই আমাদের সংস্কৃতি. কে মুসলমানের পোলা, আর কে হিন্দুর পোলা সেইটা আমরা গুনি না ...এরপরেও যদি আমরা ধর্ম নিরপেক্ষ না হইতে পারি...তাইলে সেইটা হওনের দর্রকার দেখি না...

Tarek's Blog বলেছেন...

watched the video...is it also available on youtube?

বাঙ্গাল বলেছেন...

জ্বী আছে http://www.youtube.com/watch?v=QZpT2Muxoo0

ইলিয়াছ বলেছেন...

লেখককে অনেক ধন্যবাদ, তার যুক্তিগুলো তুলে ধরতে পারার জন্যে।


যারা সেক‌্যুলারিজম নিয়া বহুত উপরে যাওনের স্বপ্ন দেখতাছে, তারা কর্মে বহুদূর আগাইয়্যা গেছে। কারণ ওয়্যারফ্যায়ার (Warfare) এ গোষ্ঠীর নীতিই সব। এই গোষ্ঠীটা এই দেশের গণমানুষের ধর্ম-সংস্কৃতিকে বাতুল প্রমাণ করার জন‌্যে যেভাবে উঠেপড়ে লেগেছে, সেই তুলনায় এর প্রতিপক্ষ (?) গোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য কর্মচোখে পড়লেও তারা অনেকক্ষেত্র গণভিত্তি দাঁড় করাতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাছাড়া, এই গণভিত্তি দাঁড় করাতে সেকুলারিস্টরা যতটুকু না বাধা সৃষ্টি করছে, তার চেয়ে বড় গলার কাঁটা হয়ে আছে এর পক্ষের শক্তির অযোগ্যতা, ব্যর্থতা ও অদূরদর্শীতা। সেক্যুলারিস্টরা আদৌ সেকুলারিস্ট কিনা, সেই প্রশ্ন করে তাদেরকে লজ্জা দেওয়ার মানে হয়না। কিন্তু তারা যে দ্বিতীয় গোষ্ঠীটার বিরোধীতা করতে গিয়েই এই পথে পা বাড়াতে বাধ্য হয়েছে, এইটা বুঝতে কারো কষ্ট হ্ওয়ার কথা না। সেকুল্যারিস্ট ও দ্বিতীয় গ্রপটার পারস্পরিক সহনশীলতা, যোগাযোগের অভাব ও আত্নপ্রীতির কারণে পারস্পরিক এই দ্বন্দে গতি এসেছে। যার শেষ ও শুরু 'বিপ্লব' নামের এজেন্ডায় সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।

আহমাদ আব্দুল্লাহ বলেছেন...

বন্ধ করে দেওয়া ওয়েবের তালিকাটা আসলে অনেক দীর্ঘ।
http://www.savebd.com


এই ওয়েবে মীর্জা আব্বাসের বাসায় আওয়ামী পুলিশ লীগের তান্ডব থেকে আরম্ভ করে সারা দেশে শিবিরের উপরে সরকারের সাঁড়াশি আক্রমনের ভিডিও ফুটেজ, সাহারা বিবির অপকর্ম সহ বেশ কিছু ভাল ইঙ্গরেজী আর্টিকেল থাকায় বাংলাদেশ থেকে এটা ব্যান করা হয়েছে।
এর আগে চুপচাপ http://www.freejamatleaders.com এইটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

বাঙ্গাল বলেছেন...

ইলিয়াস সাহেবকে ধন্যবাদ...সমস্যায় হইলো তেনারা দেশে ভাব্মুর্র্তি যেভাবে উজ্জল করতেছেন ...একইভাবে দেশের ভিতরেও লোকজন উস্কানোর পায়তারা করতেছেন...তাতে জেকন সময় ...কোন উগ্র ধর্মীয় দল ক্ষেইপা গিয়া কিছু কইরা বসতে পারে...
মনে রাখতে হবে জামাত শিবির ছাড়াও আমাদের অনেক ধর্মীয় দল আছে ...এরকম কিছু দলের সাথে আমাদের সেক্যুলার সরকারের নির্র্বাচনি মধ্য্স্তটাও হয়েছিল ...ফতোয়া দেয়ার স্বাধীনতা দেয়া হবে ...এইরকম অঙ্গীকার আমরা সেক্যুলার সরকারপ্রধানের কাছে পাইছি...সুতরাং দুই দিকেই আগুন

নামহীন বলেছেন...

অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ
আমার লাইফে পড়া অনেক গুলা ভাল লেখার একটা।

"যেকোন বাংলাদেশি পাঠক পয়লা প্যারাগ্রাফেই হেচকি খাইবো..."
হেচকি খাইছি বই কি... বিষম ও খাইছি

"ক্যাসিনোতে নাচাপিচা করতে হবে ...মাদ্রাসার মত ফালতু জাগায় টাকা পৈসা না দিয়া মদ- জুয়াতে ইনভেস্ট করা লাগপে। লেখকের সেক্যুলার রাষ্ট্রের নব্য মডেল্টার দিকে আমি তাকায়া থাকি...অনেকক্ষন।"

"আমি যা শুনতে চাই, তুমি তা বলো নাই, তাই তুমারে আমার ভালো লাগে না...ব্যান খাও! একদম মনের কথা
উপরের আহমাদ আব্দুল্লাহর মতই বলি" http://www.savebd.com এই ওয়েব টা সরকার বেমালুম কুঁত করে গিলে ফেলেছে।

কাজী বলেছেন...

বাংগাল দাদা খুবই চমৎকার...হইেছ

একটা কােলকশান বার কইরা ফালান....... Ban koira dick

Adar Bepari বলেছেন...

হুমম......... চিন্তার বিষয়।

Masrur বলেছেন...

দুনিয়ার কোন মুসলিম দেশের কোথাও এ যাবৎ বাইবেল, গীতা, ওল্ড টেস্টামেন্ট কখনও পুড়াইছে বইলা শুনি নাই। দুনিয়ার মুসলমানরা যেরকম সেক্যূলার, আর অন্য কোন জাতি এরকম সেক্যূলার হইতে পারে নাই। কোরআন পুড়ানোর অনেক প্রতিবাদ হইবো মাগার বিনিময়ে কোন বাইবেল পুড়াইবো কিনা সন্দেহ আছে!

আমাদের মাঝে কোন ধর্মীয় গোড়ামী নাই সেটা আমি বলবো না। সেটা অশিক্ষা এবং অসচেতনতার ফল। আর সূক্ষভাবে চিন্তা করতে গেলে পুঁজিবাদী আর ক্ষমতালিপ্সু একদল লোক ক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্যে বিশাল জনগোষ্ঠিকে অন্ধকারে রেখে দিয়েছে। বিশাল জনগোষ্ঠি যখন বঞ্চনার শিকার হয় তখন সেটার বাই প্রোডাক্ট হিসেবে জঙ্গীবাদের উদ্ভব হয়। বর্তমানের 'ইসলামী জঙ্গীবাদ' পাশ্চাত্য সেক্যূলার(!) আর প্রাচ্যের বক ধার্মিকদেরই বাই প্রোডাক্ট! যেটার ফল তারা এখন ভোগ করছৈ!

ইলিয়াছ বলেছেন...

মাসরুর ভাই, আপনার কমেন্টের ভিন্ন ব্যাখার যথেষ্ট অবকাশ আছে।

মুসলিম কখনোই ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারেনা। কারণ, মুসলিম সংস্কৃতি ধর্মনিরপেক্ষ নয়, ধর্মভিত্তিক। মুসলমানের রাজনীতি কিংবা সংস্কৃতি কোনটাই ধর্মের বন্ধন মুক্ত করা সম্ভব নয়। ইসলামী দুনিয়ার কোথাও তা হয়নি। তুরস্কের কামাল পাশা গায়ের জোরে চেষ্টা করেছিলেন, তাও আজ ব্যর্থ। ইউরোপীয় রেঁনেসার ইতিহাস দিয়ে একটি মুসলিম প্রধান জনগোষ্ঠীর সামাজিক বির্বতনের ইতিহাসকে ব্যাখা করা আর কাঁঠালের আমসত্ত্ব আশা করা একই কথা। ইউরোপে রেনেঁসা এসেছিল ধর্মকে বাদ দিয়ে। ইউরোপীয় রেনেসা ও সেক্যুলারিজমের সাথে ঔপেনিবেশিকতা, বাণিজ্যের নামে লুটপাট, উন্নাসিকতা ও উপনিবেশিক জাতিগুলোর উপর জুলুম বেইনসাফি জড়িত। উল্টোদিকে, মুসলিম সমাজ রেঁনেসার ভিতর দিয়ে এগিয়ে যাবে ধর্মকে সাথে নিয়, এটাই স্বাভাবিক। কারণ, সংস্কৃতির সাথে ধর্মের যে আত্মার সম্পর্ক রয়েছে।

বাংলাদেশ হওয়ার পর থেকে ধর্ম ও রাষ্ট্রের দ্বন্দ মাঝে মাঝেই প্রকট হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের জনগণ ধর্মনিরপেক্ষ, একথা কখনোই সত্য নয়। সাম্প্রদায়িকও নয়। সমাজের নেতৃত্বে যারা আছেন, তাদের কতকঅংশ নিজস্ব বাজার ও অর্থনীতির স্বাথেই মদদ পাওয়ার চেষ্টা থেকেই বাংলাদেশের ইসলাম প্রধান জনগোষ্ঠীর উপর নিজস্ব সেক‌্যুলারিজমের চিন্তাভাবনা জোর করে চাপিয়ে দিতে চান। ফলে সংকটটা আরো প্রবল হয়ে উঠে। তাছাড়া ইউরোপীয় সেক্যুলারিজম ইউরোপীয় পরিবেশে মুক্তির কথা বললেও তৃতীয় ও মুসলিম বিশ্বের প্রেক্ষাপটে তা শক্তির জোরে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে, অনেকটা রাষ্ট্রশক্তি ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির জোরে। তাই উভয়ক্ষেত্রে এর প্রায়োগিক ব্যাখা ভিন্নতার দাবি রাখে। একথা না বললেও নয় যে, ইউরোপীয় সেক্যুলারিজম বিকাশের প্রেক্ষাপট দিয়ে মুসলিম দুনিয়ায় সেক্যুলারজমের আগমন ও প্রয়োজন বিশ্লেষণ করা অনর্থক।

আমার মোদ্দা কথা হইতাছে গিয়া, এই দেশে যারা সেক‌্যুলারিজমের ধ্বজাধারী, তারাই আসলে সাম্প্রদায়িক, তারাই নিজস্ব অর্থনীতি ও বাজারকে প্রাধান্য দিতে গিয়েই এই এজেন্ডা নিয়ে নেমেছে এবং নামতে বাধ্য হয়েছে। একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করলেই বিষয়টা সহজে চোখে পড়ে।
জঙ্গীবাদ ও এর উত্থান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব প্রেক্ষাপট এটারও একইভাবে ভিন্নব্যাখা ও প্রেক্ষাপট রয়েছে।

ইলিয়াছ বলেছেন...

মাসরুর ভাই, আপনার কমেন্টের ভিন্ন ব্যাখার যথেষ্ট অবকাশ আছে।

1. মুসলিম কখনোই ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারেনা। কারণ, মুসলিম সংস্কৃতি ধর্মনিরপেক্ষ নয়, ধর্মভিত্তিক। মুসলমানের রাজনীতি কিংবা সংস্কৃতি কোনটাই ধর্মের বন্ধন মুক্ত করা সম্ভব নয়। ইসলামী দুনিয়ার কোথাও তা হয়নি। তুরস্কের কামাল পাশা গায়ের জোরে চেষ্টা করেছিলেন, তাও আজ ব্যর্থ। ইউরোপীয় রেঁনেসার ইতিহাস দিয়ে একটি মুসলিম প্রধান জনগোষ্ঠীর সামাজিক বির্বতনের ইতিহাসকে ব্যাখা করা আর কাঁঠালের আমসত্ত্ব আশা করা একই কথা। ইউরোপে রেনেঁসা এসেছিল ধর্মকে বাদ দিয়ে। ইউরোপীয় রেনেসা ও সেক্যুলারিজমের সাথে ঔপেনিবেশিকতা, বাণিজ্যের নামে লুটপাট, উন্নাসিকতা ও উপনিবেশিক জাতিগুলোর উপর জুলুম বেইনসাফি জড়িত। উল্টোদিকে, মুসলিম সমাজ রেঁনেসার ভিতর দিয়ে এগিয়ে যাবে ধর্মকে সাথে নিয়, এটাই স্বাভাবিক। কারণ, সংস্কৃতির সাথে ধর্মের যে আত্মার সম্পর্ক রয়েছে।


(কমেন্টটা বড় হওয়াতে দুইভাগে দিলাম)

ইলিয়াছ বলেছেন...

(কমেন্টের দ্বিতীয় অংশ)

2. বাংলাদেশ হওয়ার পর থেকে ধর্ম ও রাষ্ট্রের দ্বন্দ মাঝে মাঝেই প্রকট হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের জনগণ ধর্মনিরপেক্ষ, একথা কখনোই সত্য নয়। সাম্প্রদায়িকও নয়। সমাজের নেতৃত্বে যারা আছেন, তাদের কতকঅংশ নিজস্ব বাজার ও অর্থনীতির স্বাথেই মদদ পাওয়ার চেষ্টা থেকেই বাংলাদেশের ইসলাম প্রধান জনগোষ্ঠীর উপর নিজস্ব সেক‌্যুলারিজমের চিন্তাভাবনা জোর করে চাপিয়ে দিতে চান। ফলে সংকটটা আরো প্রবল হয়ে উঠে। তাছাড়া ইউরোপীয় সেক্যুলারিজম ইউরোপীয় পরিবেশে মুক্তির কথা বললেও তৃতীয় ও মুসলিম বিশ্বের প্রেক্ষাপটে তা শক্তির জোরে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে, অনেকটা রাষ্ট্রশক্তি ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির জোরে। তাই উভয়ক্ষেত্রে এর প্রায়োগিক ব্যাখা ভিন্নতার দাবি রাখে। একথা না বললেও নয় যে, ইউরোপীয় সেক্যুলারিজম বিকাশের প্রেক্ষাপট দিয়ে মুসলিম দুনিয়ায় সেক্যুলারজমের আগমন ও প্রয়োজন বিশ্লেষণ করা অনর্থক।

আমার মোদ্দা কথা হইতাছে গিয়া, এই দেশে যারা সেক‌্যুলারিজমের ধ্বজাধারী, তারাই আসলে সাম্প্রদায়িক, তারাই নিজস্ব অর্থনীতি ও বাজারকে প্রাধান্য দিতে গিয়েই এই এজেন্ডা নিয়ে নেমেছে এবং নামতে বাধ্য হয়েছে। একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করলেই বিষয়টা সহজে চোখে পড়ে।

জঙ্গীবাদ ও এর উত্থান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব প্রেক্ষাপট এটারও একইভাবে ভিন্নব্যাখা ও প্রেক্ষাপট রয়েছে।

Swakkhar Shatabda বলেছেন...

আমার বাড়িওয়ালা খুবই চিন্তিত, কারণ সে ডরায় কোরান পুড়াইয়া ফেলে যদি তাইলে আবার ৯-১১ এর মতন ভয়ঙ্কর কিছু ঘটবে।

আমেরিকার স্বরূপ উন্মোচিত হইছে আগেও এখনো।

"সেকুলার বাংলাদেশ" এই লেখাটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত, ঐ বেটার লেখাটা কিছুই হয় নাই, আর ঐটারে নিয়া মাতামাতি কইরা মিডিয়া কি যে কি করলো, ধুর।

"এখন বিএনপি- আওয়ামী লীগ মাইরপিটে যদি আওয়ামীলীগের মোট ১০০জন হতাহত হয় ...তার মদ্দে যদি ২০জন হিন্দু-আওয়ামী সাপোর্টার হয়...সেইটারে কি সংখ্যালঘুদের উপ্রে নির্যাতন নাকি রাজনৈতিক বিরোধ বলবো? "

হ্যা এই প্রশ্নের উত্তর হবে রাজনৈতিক বিরোধ, তবে ওটার থেকে সংখ্যালঘু প্রশ্ন খুব বেশি ভিন্ন কিছু না। ঐটার সাথে সেকুলার বাংলাদেশের কোন সম্পর্ক নাই, সেকুলার হইলেই যে ঐটা ঘটবেনা তেমন কথা নাই, সেকুলারিজম হইল ফরাসি বুর্জোয়া কর্তৃক সৃষ্ট একটা ধুঁয়া, যেইটার সুরে এতই মধু ছিল, যা ভুলতে খোদ ফ্রান্সের বেশিদিন লাগে নাই।

Unknown বলেছেন...

vaia apni ki samu te likha bondho kore disen??? ami apnar likha gula mainly oikhanei pore thaki.....
by d way ami shafi r friend...suhrawardy 304 er shafi...apnare 2-3 bar dekhsi...beshi kotha hoeni apnar sathe...watever valo thaken

বাঙ্গাল বলেছেন...
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
বাঙ্গাল বলেছেন...

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া..সামুতে পরে দিব ...ঈদের পরে ...আস কিরম তোমরা?ঈদ মুবারক

kaz বলেছেন...

লেখাটা বেশ ভালো পেয়েছি। আমি সাধারনত ব্লগ পডি/লিখি না, কেউ কোন বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন না করলে। আপনার এই লেখাটা ও তাই। আল্লাহ আপনার ভালো করুন।

এই ভদ্রলোক (K. Anis Ahmed) কিছুদিন আগে WSJ তে আরেকটা পিস লিখেছিলেন।

যিনি আমার নজরে আনেন তার জন্য একটি মন্তব্য করেছিলাম। সেটা এখানে উল্লেখ করতে আগ্রহ বোধ করছিঃ

Mr. Ahmed's remark "...hostility to the free market" in the course of his unleashing a typed critique of what he calls "anticapitalism sentiment" immediately brings into mind the cynicism:

"...The really powerful will follow their own rules, as when the Clinton administration recently demonstrated its devotion to free trade by slapping prohibitive tariffs on Japanese supercomputers that were undercutting U.S. manufacturers (called “private,” despite their massive dependency on public subsidy and protection), or a year earlier, by effectively banning Mexican tomatoes because they were preferred by American consumers, as frankly conceded."
[ A 1998 piece from Chomsky, but pretty much relevant.]

Another curious piece of claim: "Society puts the highest value on being an intellectual, so that the brightest students compete to get into the public universities. They then join a tiny elite, who imbibe the leftist ideology at school, enter the bureaucracy and NGOs, and keep promoting retrograde policies and ideas."

A factual, though minor in significance, objection to this is that brightest students competing to getting into public universities is not out of choice in almost all cases -- a fact either downplayed deliberately, or went unnoticed in the eyes as elite as that of a director of a leading corporation*. How much value society puts on being an intellectual? The rush to BUET/Medical/IBA for education/training, and to MNCs for job/profession, paints a different picture.

But of more significance is the point that good old intellectuals who were fashionable Che Guevara-wannabes in their youth, while retaining much of their rhetoric, have turned into loyal NGO-entrepreneurs; isn't this endeavor decidedly pro-capitalism one way or the other? Alongside their younger colleagues of mostly post-USSR generation, they are providing a unique intellectual service in this age. During the plain colonial era were the brutal jamidars with batons -- loyal to their lords and beneficiary in cash/power -- to keep the invaded territories (colonies) subdued; analogue of that band in this time are the thought-leaders who provide a service in intellectual front by manufacturing the appropriate propaganda discourses. Their genre is aptly branded as "homegrown orientalism" in this piece where Prof Shahid Alam incisively conducts a case-study of the Pakistani band.

ধন্যবাদ।

* বক্তব্যকে বক্তা থেকে আলাদা করে স্বতন্ত্রভাবে বিচার করাই নিয়ম (i.e., to avoid Ad Hominem fallacy by all means)। কিন্তু কখনো সেটা পাট্যার্নের অংশ হয়ে পডে। সেজন্য উল্লেখ করছি, ভদ্রলোক (Kazi Anis Ahmed) হলেন প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা, পুজিপতি, সম্পাদক (বুদ্ধিজীবি?) কাজী শাহেদ আহমেদ এর পুত্র (শাহেদ আহমেদ কি আওয়ামী এমপি?)। নিউ ইয়র্ক ইয়ুনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেছেন, পিতার পুজি খাটানোর কিছু দিক দেখেন। অর্থাৎ হামিদ কারজাই সুলভ যোগ্যতা তার আছে, এই দুইটা নিবন্ধে তিনি doctrinally/attitudinally সেরকম মানসিকতারও কিছু প্রমান দিয়েছেন।
["প্রিন্স" এর Co-author Ciovacco ইউএস আর্মির হয়ে ইরাকে খুনাখুনিতে অংশ নিয়েছেন।]

KAZ বলেছেন...

লেখাটা বেশ ভালো পেয়েছি। কমেন্ট অংশটাও অন্যরকম। আমি সাধারনত ব্লগ পডি/লিখি না। কেউ কোন বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করলে কখনো একটু দেখি, আপনার এই লেখাটা যেমন।

এই ভদ্রলোক (K. Anis Ahmed) কিছুদিন আগে WSJ তে আরেকটা পিস লিখেছিলেন।

যিনি আমার নজরে আনেন তার জন্য একটি মন্তব্য করেছিলাম। প্রাসঙ্গিক মনে হলো বলে সেটা এখানে উল্লেখ করতে আগ্রহ বোধ করছিঃ

Mr. Ahmed's remark "...hostility to the free market" in the course of his unleashing a typed critique of what he calls "anticapitalism sentiment" immediately brings into mind the cynicism:

"...The really powerful will follow their own rules, as when the Clinton administration recently demonstrated its devotion to free trade by slapping prohibitive tariffs on Japanese supercomputers that were undercutting U.S. manufacturers (called “private,” despite their massive dependency on public subsidy and protection), or a year earlier, by effectively banning Mexican tomatoes because they were preferred by American consumers, as frankly conceded."
[ A 1998 piece from Chomsky, but pretty much relevant.]

--->

KAZ বলেছেন...

--->
Another curious piece of claim: "Society puts the highest value on being an intellectual, so that the brightest students compete to get into the public universities. They then join a tiny elite, who imbibe the leftist ideology at school, enter the bureaucracy and NGOs, and keep promoting retrograde policies and ideas."

A factual, though minor in significance, objection to this is that brightest students competing to getting into public universities is not out of choice in almost all cases -- a fact either downplayed deliberately, or went unnoticed in the eyes as elite as those of a director of a leading corporation*. How much value society puts on being an intellectual? The rush to BUET/Medical/IBA for education/training, and to MNCs for job/profession, paints a different picture.

But of more significance is the point that good old desi intellectuals who were fashionable Che Guevara-wannabes in their youth, while retaining much of their rhetoric, have turned into loyal NGO-entrepreneurs; isn't this endeavor decidedly pro-capitalism one way or the other? Alongside their younger colleagues of mostly post-USSR generation, they are providing a unique intellectual service in this age. During the plain colonial era were the brutal jamidars with batons -- loyal to their lords and beneficiary in cash/power -- to keep the invaded territories (colonies) subdued; analogue of that band in this time are the thought-leaders who provide a service in intellectual front by manufacturing the convenient discourses and by keeping the relevant propaganda machinery running (;often give-the-dog-a-bad-name-and-kill-it strategy works). Their genre is aptly branded as "homegrown orientalism" in this piece where Prof Shahid Alam incisively conducts a brilliant case-study of the Pakistani band of this type.

ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনার ভালো করুন।

KAZ বলেছেন...

* বক্তব্যকে বক্তা থেকে আলাদা করে স্বতন্ত্রভাবে বিচার করাই নিয়ম (to avoid Ad Hominem fallacy by all means)। কিন্তু কখনো সেটা পাট্যার্নের অংশ হয়ে পডে। সেজন্য উল্লেখ করছি, ভদ্রলোক (Kazi Anis Ahmed) হলেন প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা, পুজিপতি, (আজকের কাগজ) সম্পাদক (বুদ্ধিজীবি?) কাজী শাহেদ আহমেদ এর পুত্র (শাহেদ আহমেদ কি আওয়ামী এমপি নাকি মনোনয়ন পাননি, নাকি হেরেছেন?)। নিউ ইয়র্ক ইয়ুনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেছেন, পিতার বানিজ্যিক সাম্র্যাজ্যে পুজি খাটানোর কিছু দিক দেখেন (;পিতার প্রতিষ্টিত বিশ্ববিদ্যালয়ও চালান)। অর্থাৎ হামিদ কারজাই সুলভ যোগ্যতা তার আছে, এই দুইটা নিবন্ধের ডকট্রিন থেকে যতদুর পড়া যায়, attitudinally সেরকম মানসিকতারও কিছু প্রমান দিয়েছেন।

["প্রিন্স" এর Co-author Ciovacco ইউএস আর্মির হয়ে ইরাকে খুনাখুনিতে অংশ নিয়েছেন।]

নামহীন বলেছেন...

ভাই আমি কোন ভাবেই বিশিষ্ট ব্যক্তির বিশেষ secularism এর সমর্থক না।শব্দটির অর্থ ধর্মনিরপেক্ষতা; কখনই ধর্মহীনতা।কেউ যদি এই মতবাদটিকে বিকৃতভাবে ব্যাখ্যা করেন বা করতে চান তবে সেটা তার সমস্যা, মতবাদের সমস্যা না।
Secularism কি কোথাও বলেছে আপনাকে নামাজ পড়তে দিবে না অথবা কাউকে পুজো করতে দিবে না??

আর জোড় করে কখনই কিছু বন্ধ করা যায় না।তাই বলে ভাববেন না যে আমি আবার মদ্যপান কিংবা জুয়ো খেলাকে সমর্থন যোগাচ্ছি।কথা হচ্ছে Casino খোলার মানে এই নয় যে আপনাকে ঐখানে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।আপনার ধর্ম অনুযায়ী উচিত না, আপনি যাবে না।তাই বলে অন্য ধর্মের কেউ যেতে চাইলে তাতে তো আপনি বাধা দিতে পারেন না।

আর বাংলাদেশে তো এগুলো নিষেধ, তাই বলে কি সব বন্ধ হয়ে আছে।অনেক মানুষই তো মদ গিলছে।অনেক জায়গাতেই সরকারের জানামতেই Bar ছিলো আছে।জামায়েত সরকারও তো দেখে না দেখার ভান করে গেছেন।কিছু হলেই আপনারা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে বলবেন।এটাই আপনাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে।

(cont.)

নামহীন বলেছেন...

@বাঙ্গালঃ আপনি বলেছেন যে সরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে হিন্দু-মুসল্মান প্রভেদ আছে নাকি!!ভাই দেখে না দেখার ভান করলে তো কিছুই বলার নাই।বিগত জোট সরকারে যদি প্রভেদ না করে থাকে তো আমি আমার নাম বদলায় ফেলবো।

আর ছুটির কথা বলছেন??দুর্গাপুজোয় একদিন ছুটি দেয় তাও আবার পুজো শেষে দশমীতে।North South University তে স্বরসতী পুজোতেও ক্লাস করতে হয়।আপনি কি ভাই বাংলাদেশে ঈদের দিনে ক্লাসে যান???

নামহীন বলেছেন...

@Masrur: আমেরিকানেরা ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়াতে চাচ্ছে এটাকে কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না।মনে হয় ওরা ইসলাম ধর্মটাকেই ভয় পেয়েছে।তবে এভাবে পুড়িয়ে তো ভাই কোন কিছু আটকে রাখা যায় না।যা হবার তা ঘটবেই।

আর আপনি লিখেছেনঃ 'দুনিয়ার কোন মুসলিম দেশের কোথাও এ যাবৎ বাইবেল, গীতা, ওল্ড টেস্টামেন্ট কখনও পুড়াইছে বইলা শুনি নাই। দুনিয়ার মুসলমানরা যেরকম সেক্যূলার, আর অন্য কোন জাতি এরকম সেক্যূলার হইতে পারে নাই।'

ভাই ৩৬০ টা দেব-দেবীর মূর্তি ধ্বংশের কাহিনী কি ভাই জানেন না।না জানলে জেনে নিয়েন।
আর বাংলাদেশে যে কতবার দূর্গা পুজোর প্রতিমা মুসলমানের আক্রমণের শিকার হল কিংবা যখন বাংলার মুসলমানের আমেরিকার হাত থেকে ইরানকে রক্ষা করতে পারে না তখন এইদেশের গীর্জা ভাঙতে গেছে তা যদি না জানেন তো বলবো আপনার জানায় ফাঁক থেকে গেছে।


কোন ধর্মেরই তো অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার কোনই দরকার নেই।কারণ ধর্ম আমাদের কখনই তা শেখায় না।ধর্মের উদ্ভবই হয়েছে শান্তির বার্তা নিয়ে।অশিক্ষিত আর কুশিক্ষিত মানুষেরা ধর্মের নামে অন্যের উপর আক্রমোন করে নিজেদের সুবিধা আদায় করে নেয়।

বাঙ্গাল বলেছেন...

@aakash314 : ভাই...আপ্নি কি স্পেসিফিক করে বলতে পারবেন ...কোথাও হিন্দু-মুসল্মান আলাদা করে কন সুজোগ সুবিধা দেয়া হৈছে। কিছু জিনিসে মনে হৈতে পারে- এখানে হিন্দু বলেই অমুক চাকরিতে বাদ দেয়া হৈছে...কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে ...তদবিরে যখন রাজনৈতিক নিয়োগ হয় তখন অনেক মুসল্মানো মেধার মূল্যায়ন পায় না। ব্যাপারটা মূলত রাজনৈতিক...ধর্মীয় না।

পূজায় কম ছুটির যে অভিজোগ করলেন...সেইটা অনেকটাই অবান্তর।আমাদের যত ছুটিছাটা দেয়া হয়, দুনিয়ার অনেক দেশেই তা নাই। উন্নত দেশে একেবারেই নাই। আর নর্থ সাউথ একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি।এবং এইটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আপনি নিশ্চ্য়ই মানবেন, তারা ধর্মীয় অবজ্ঞা প্রকাশ করতে দুর্গা পূজায় ক্লাস খোলা রাখে নাই।

আপনি যে ৩৬০টা মূর্তির কাহিনী শুনাইলেন...তা বাংলাদেশের জন্মের ১৪০০ বছর আগের। সুত্রাং বর্ত্মান আলোচনায় তা কন ভাবেই প্রাসঙ্গিক না। আপনি আবার হেডিংটা পড়লে ভাল করবেন।

বাঙ্গাল বলেছেন...

@aakash314: বলছেন "কিছু হলেই আপনারা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে বলবেন।এটাই আপনাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে।"----আপ্নের আপত্তিটা এখন ক্লিয়ার। রাজনৈতিক।
ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাজনৈতিক এজেন্ডা হিসাবে ব্যবহার করার একটা পায়তারা আওয়ামী লীগের আছে ...সেইটা প্রবল্ভাবে এখন বুঝা জাইতেছে। আবার এরাই বলবে "আমি যা শুনতে চাই, তুমি তা বলো নাই, তাই তুমারে আমার ভালো লাগে না...ব্যান খাও! "---আপ্নিও একি মনভাব পোষন করেন। কোন সমালোচনা শুনতে চান না।

বাঙ্গাল বলেছেন...

@aakash314: সেক্যুলারিজম বিষয়ে আপনি আমার আপত্তিটা ধরতে পারেন নাই। আপত্তিটা এজেন্ডাগত। কৌসলগত।
এক। লেখকরা এইখানে একটা ধর্মীয় অনুশাসনে আক্রান্ত সেমি-তালেবান বাংলদেশের বর্ননা দিতেছেন বিদেশি পাঠকদের। এইটা আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতেছে। এবং এইটা একটা মিথ্যা অপপ্রচার।
দুই। যাদের কাছে তারা সেক্যুলারিজমের মডেল ধার করতেছেন...তারা নিজেরাই ব্যররথ...সব ধর্মের মানুষ্কে সমান অধিকার দেয়ায়। আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতা, আমাদের সমাজের প্রেক্ষিতে আমরা ঠিক করব...বাইরে থেকে অনুগ্রহ অনুদান নিয়া না।

নামহীন বলেছেন...

ভাইজানের মুসারে নিয়া একটা পোস্ট ছিলো দেখতেছিনা কেন? নাকি পোঙ্গাপন্থিদের ডরে ;)

lalu kosai বলেছেন...

নয়া কিছু লেখনের ইচ্ছা জাগেনা ভাহে?