৯ অক্টো, ২০১১

পোস্ট গ্রাজুয়েটের জীবন থেকে নেয়া

বাংলাদেশের প্রবাসীদের  মাঝে যে পোস্ট গ্রাজুয়েট পেশার লোকজন নগন্য হৈলেও- ফেইসবুকে তাদের আধিপত্য নারায়ঙ্গঞ্জের শামীম অস্মানের আধিপত্যের চেয়েও বেশি। কারন পরিস্কার- রাজনিতীর মাঠ দখল করে যেমন আধিপ্ত্য প্রতিষ্ঠা হয়, তেমনি ফেইসবুকে সারাক্কন পৈড়া থাইকাও আধিপত্য বজায় থাকে।

শিক্ষাদীক্ষার লাইনে জাগো যুগাযোগ কম, তারা এই পেশার লোকজন সম্পর্কে ভূল ধারনা রাখেন। তাদের মনে বদ্ধমূল ধারনা... পোস্টগ্রাজুয়েট্রা ব্যাফক মেধাবি...তাই তাগ পোইসা দিয়া বিদাশিরা পড়ায়। কথা আংশিক সত্য। এত কম টাকায় এতবড় ছাগল বিদাশে পাওয়া যায় না... তাই বাংলাদেশ থিকা আমদানী করা হয়।

একজন পোস্টগ্রাড সকালে ঘুম থিকা উঠে কিংবা কেউ কেউ সকালে ঘুমাইতে যায়। এদের লাইফ স্টাইল ঘড়ির কাটায় সেট থাকে না। ক্যালেন্ডারের পাতায় সেট করা থাকে। কোন সুপারভাইজার কখন জিগাবে না "গতকাল তুমি কি করছো?"। বরং জিগাবে " হোয়াট ইউ ডিড লাস্ট উইক/মান্থ?"

আদর্শ পোস্টগ্রাডের প্রথম কাজ...সকালে ঊইঠা ফেইসবুক-টুইটার নিজের মুবাইলে দেখা...এরপরে ডিপার্মেন্টে আইসা...আবার একি নোটিফিকেশঙ্গুলারে বড় পর্দায় (ডেস্কটোপে) দেখা। এরবাদে ১০-১২টা নিউজপেপারের গুতায়া ...ফেইবুকে শেয়ারিত কৈরা...নিজে ও নিজের ভাই-ব্রাদারদের হোম পেজ ভাসায়া দিয়া হাপায়া উঠলে...লাঞ্ছের পরে...এক্টা বিজ্ঞানবিষয়ক পেপার ডাউনলোড কৈরা প্রিন্ট দিয়া...বিকালের কফি খায়া বাসায় চৈলা যাওয়া। এমন একটা ভাব...। ডিপার্টমেন্টে পড়া হৈতেছে না... বাসায় গিয়া মাথা ঠান্ডা কোইরা পড়া লাগপে।

খাওয়াদাওয়া কথা যখন চৈলাই আস্লো... তাইলে আরেকটু বিস্তারিত না বললেই না। অধিকাংশ পোস্টগ্রাড জৈবিক চাহিদা দ্বারা তাড়িত প্রানী। এরা কোন অনুষ্ঠানের শেষে ফ্রি-ফুড না থাকলে জিন্দেগীতে পশ্চাদ্দেশের ১ ফুট সরণ ঘটাবে না। যেকোন দাওয়াতে সবার আগে কবুল করবে। এবং বেশুমার খাইয়া খাবারে শর্ট ফেলাবে। পোস্ট-গ্রাজুয়েটের জন্য ভার্সিটী ফ্রি চা-কফি-চিনি-দুধ দিয়া রাখলেও... সব সময় দুধের সংকট থাকবে। দুধ খাওয়া থেকে বিরত করতে বড় বড় নোটিশ টাঙ্গায়েও কোন লাভ হয় না। কারন পড়ালেখা করতে পুষ্টির বড় প্রয়োজন। এদের জীবণে বিনোদনের বড় অভাব। IMBD থিকা ২৫০ মুভির লিস্ট শেষ হৈলে ...৫০০ মুভির লিস্ট নামানো হয়...কিন্তু বিনোদনের ক্ষুধা শেষ হয় না। তাই খাদ্য এদের এক্মাত্র বিনোদন। ভোজন এদের হবি। একমাত্র কমন ভিলেন- সুপারভাইজার।

তবে এর ব্যতিক্রম আছে। সবখানেই থাকে। জগত সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন একদল পোস্টগ্রাড আছে যারা বাইরের দুনিয়ার কোন খোজ রাখে না। এরা ফেইসবুকে শুধুমাত্র জন্মদিনের দিন আসে... বন্ধুদের উইশ পাওয়ার আশায়। ২ বছর পরপর দেশে যায়, ২ সপ্তাহের জন্য... কারন অনেক কাজ...অমূক পেপারটা সাবমিট করা লাগবে...তমুক এক্সপেরিমেন্ট আবার করা লাগবে। পোলাপানের তমুক পরীক্ষার খাতা কাটা লাগপে। 

আর সবার মত সকল পোস্টগ্রাডের স্বপ্ন বাড়ি-গাড়ি-চাকরী- পরিবার। যা তারা পাবে...কিন্তু শেষ বয়সে